শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২ মার্চ, ২০১৮, ০৫:০২ সকাল
আপডেট : ২২ মার্চ, ২০১৮, ০৫:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিচারের মূল্য ২৮ বছর

রাশিদ রিয়াজ : ৩২ বছর আগে আব্দুল কাদের বাড়ি থেকে দুটি গরু নিয়ে যশোরের সাতমাইল এলাকার একটি পশু হাটে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তার প্রতিবেশি মফিজুর রহমানও দুটি পশু নিয়ে হাটে বিক্রির জন্যে যাচ্ছিলেন।পথিমধ্যে বিডিআর (বর্তমানে বিজিপি) সদস্যরা তাদের পথ রোধ করে দাঁড়ায়। গরুগুলোর কাগজপত্র দেখাতে বলে। নিজের পোষা গরু বলে তার কোনো কাগজপত্র তাদের সঙ্গে ছিল না। বিডিআর’এর এক ল্যান্স নায়েক কাদের ও মফিজুরের বিরুদ্ধে গরু চোরাচালানের মামলা করে দেন। ১৯৮৬ সালে এ মামলা হওয়ার পর হরি চাঁদপুরের ওই দুই বাসিন্দাকে পরের বছর ৩০ মার্চ যশোর আদালত ৫ বছরের জেল দেয়।

জামিন পাওয়ার আগে কাদের ও মফিজকে ৩ বছর জেল খাটতে হয়। তারা তখন যশোরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আপিল করেন। এরপর দীর্ঘদিনের অপেক্ষায় তাদের দিন যায় কারাগারে। গতকাল বুধবার ২৮ বছর পর হাইকোর্ট ঘোষণা করে কাদের ও মফিজ নির্দোষ।

টেলিফোনে কাদের তার গ্রাম থেকে জানান, আমি খুশি। কাদেরের বয়স এখন ৫৫ বছর। দুই সন্তানের জনক মফিজ এক বছর আগে চিরমুক্তি পেয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। কাদের বলেন, অনেক বছর পর হলেও হাইকোর্টের এ রায়ে আমি মুক্তি অনুভব করছি।

বিডিআর’এর ল্যান্স নায়েক আমির আলী ১৯৮৬ সালের ২৭ আগস্ট শার্শা থানায় ওই মামলা করেন এবং এ মামলার আইনজীবী ছিলেন কুমার দেবুল দে। কুমার বলেন, যশোর হাইকোর্ট ১৯৯০ সালে বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং এ মামলাটি ঢাকায় হাইকোর্টে স্থানান্তর হওয়ার পর পড়ে ছিল। গত বছর হাইকোর্টের রেজিস্টার অফিস সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটিকে জানায়, কাদের ও মফিজের আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াব মারা গেছেন।

কমিটি এ মামলার শুনানির ব্যবস্থা করে। ভারত থেকে চোরাচালানে পশুগুলো কাদের ও মফিজ এনেছিল এধরনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। ডেইলি স্টার থেকে অনুবাদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়