রাশিদ রিয়াজ : ৩২ বছর আগে আব্দুল কাদের বাড়ি থেকে দুটি গরু নিয়ে যশোরের সাতমাইল এলাকার একটি পশু হাটে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তার প্রতিবেশি মফিজুর রহমানও দুটি পশু নিয়ে হাটে বিক্রির জন্যে যাচ্ছিলেন।পথিমধ্যে বিডিআর (বর্তমানে বিজিপি) সদস্যরা তাদের পথ রোধ করে দাঁড়ায়। গরুগুলোর কাগজপত্র দেখাতে বলে। নিজের পোষা গরু বলে তার কোনো কাগজপত্র তাদের সঙ্গে ছিল না। বিডিআর’এর এক ল্যান্স নায়েক কাদের ও মফিজুরের বিরুদ্ধে গরু চোরাচালানের মামলা করে দেন। ১৯৮৬ সালে এ মামলা হওয়ার পর হরি চাঁদপুরের ওই দুই বাসিন্দাকে পরের বছর ৩০ মার্চ যশোর আদালত ৫ বছরের জেল দেয়।
জামিন পাওয়ার আগে কাদের ও মফিজকে ৩ বছর জেল খাটতে হয়। তারা তখন যশোরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আপিল করেন। এরপর দীর্ঘদিনের অপেক্ষায় তাদের দিন যায় কারাগারে। গতকাল বুধবার ২৮ বছর পর হাইকোর্ট ঘোষণা করে কাদের ও মফিজ নির্দোষ।
টেলিফোনে কাদের তার গ্রাম থেকে জানান, আমি খুশি। কাদেরের বয়স এখন ৫৫ বছর। দুই সন্তানের জনক মফিজ এক বছর আগে চিরমুক্তি পেয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। কাদের বলেন, অনেক বছর পর হলেও হাইকোর্টের এ রায়ে আমি মুক্তি অনুভব করছি।
বিডিআর’এর ল্যান্স নায়েক আমির আলী ১৯৮৬ সালের ২৭ আগস্ট শার্শা থানায় ওই মামলা করেন এবং এ মামলার আইনজীবী ছিলেন কুমার দেবুল দে। কুমার বলেন, যশোর হাইকোর্ট ১৯৯০ সালে বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং এ মামলাটি ঢাকায় হাইকোর্টে স্থানান্তর হওয়ার পর পড়ে ছিল। গত বছর হাইকোর্টের রেজিস্টার অফিস সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটিকে জানায়, কাদের ও মফিজের আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াব মারা গেছেন।
কমিটি এ মামলার শুনানির ব্যবস্থা করে। ভারত থেকে চোরাচালানে পশুগুলো কাদের ও মফিজ এনেছিল এধরনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। ডেইলি স্টার থেকে অনুবাদ
আপনার মতামত লিখুন :