নিজস্ব প্রতিবেদক : গল্পের বই কিংবা ম্যাগাজিন, প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে ধ্রুব এষ যেন এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নাম। ১৯৬৭ সালের এই দিনে তিনি সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।
শুধু বইয়ের প্রচ্ছদই আঁকেন না এই গুণী মানুষটি। লেখেন গল্প-কবিতাও। ১৯৯০ সালের পর তিনি হুমায়ূন আহমেদের অধিকাংশ গ্রন্থের প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছেন। বর্তমান সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকা রহস্যপত্রিকার শিল্প সম্পাদক হিসেবে তিনি কর্মরত আছেন।
প্রচ্ছদ আঁকার গল্প বলতে গিয়ে প্রায়ই ধ্রুব এষ বলেন, ‘বাজার অর্থনীতির যুগে চিপস থেকে শুরু করে বই সবই মোড়কনির্ভর’।
চারুশিল্পী হিসেবে তাঁর আবির্ভাব ১৯৯০ দশকের মধ্যভাগে। বিমূর্ত নকশার প্রতি তাঁর অনেক ঝোঁক ছিল। প্রচ্ছদে তিনি উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করে থাকেন। তাঁর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কাজ প্রকাশক ও লেখক-সাহিত্যিকদের নজর কাড়ে। প্রথম দিকে তিনি ইমদাদুল হক মিলনের বইয়ের প্রচ্ছদ করতেন। পরে প্রকাশকদের মাধ্যমে হুমায়ুন আহমেদের সাথে পরিচয় হয় এবং সখ্য গড়ে ওঠে। তারপর থেকে হুমায়ূনের অধিকাংশ বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব।
ধ্রুব বলেন, বাংলাদেশে প্রচ্ছদশিল্পে আধুনিকতা আনার জন্য কেউ কেউ আমাকে কৃতিত্ব দেন। তবে এর মূল কৃতিত্ব হুমায়ূন আহমেদের। তিনি আমাকে প্রথম বলেছিলেন, আমার বইয়ের প্রচ্ছদে ফিগার আঁকতে হবে না। এই স্বাধীনতা আমাকে একলাফে অনেকদূর এগিয়ে দিয়েছে।
এখন প্রতিবছর ধ্রুব এষ প্রায় ৬০০-৭০০ বইয়ের প্রচ্ছদ আঁকেন। তার শিশুসাহিত্যের মধ্যে : সুপারি পাতার গাড়ি (২০০০), সূর্য মামার বাচ্চাদের গল্প (২০০১), ঠিক দুক্কুর বেলা (২০০৪), ভূতপুর (২০০৭), রাফখাতা (২০০৯), আরেক নীশিতা (২০১০), আলোচিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে : বাম হাতে ছয় আঙুল (২০১৩), অসকাল (২০১৩) ও সম্পাদনা করেছেন সেরা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (২০০৯) উল্লেখযোগ্য।
আপনার মতামত লিখুন :