শিরোনাম
◈ বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আরব আমিরাতকে পাশে চায় ঢাকা চেম্বার ◈ দিনমজুরের সন্তান অয়ন্ত বালা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে সুযোগ পেলো ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকার ১৯টি খাল সংস্কার করা হবে: উপদেষ্টা ◈ ভারতের প্রতি বাংলাদেশের শত্রুতাপূর্ণ আচরণ দেখতে চাই না : জয়শঙ্কর ◈ ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ২৩ হাজার কোটি টাকা ◈ জাতিসংঘের প্রতিবেদন হাসিনার আন্তর্জাতিক বৈধতাকে আরো দুর্বল করবে ◈ যে কারণে খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হয় হুমায়ূন আহমেদের প্ল্যাকার্ড! ◈ ছাত্রদলের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিচ্ছবি দেখছেন শিবির সভাপতি (ভিডিও) ◈ এক ওভারে ১১ বল, শামির লজ্জার রেকর্ড, শীর্ষে বাংলাদেশের হাবিবুল বাশার ◈ কেনো অন্য দলের খেলায় ভারতের জাতীয় সংগীত বাজলো, পাকিস্তান ব্যাখা চাইলো আইসিসির কাছে

প্রকাশিত : ০৮ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:৩৯ সকাল
আপডেট : ০৮ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৪:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২০৫০ সালে হেক্টর প্রতি ধান ‍উৎপাদন কমবে ১৪-১৭ শতাংশ: বিআইডিএস

জান্নাতুল ফেরদৌসী: এডিবি'র তথ্যমতে, বর্তমানে বন্যার দিক থেকে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। শুধুমাত্র বন্যার কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বছরে ধানের গড় উৎপাদন কমবে ৩.৯ শতাংশ। আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সালে দেশে ধানের উৎপাদন হেক্টর প্রতি ১৪ থেকে ১৭ শতাংশ কমার আশঙ্কা করছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক- এডিবি ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান- বিআইডিএস। সূত্র: সময় টিভি

বিআইডিএস'র দাবি, কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ২০৩০ সালের পর থেকেই কমতে থাকবে ধানের উৎপাদন। এ অবস্থায় ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষম জাত উদ্ভাবন এবং দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়ার ওপর জোর দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৭ সালে বোরো মৌসুমের শুরুতে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় হাওর অঞ্চলের প্রায় ৪ লাখ হেক্টর ধানি জমি। কয়েক দফা বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়ে আরও ৩১ জেলা। এতে বোরো-আউশ মিলিয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ লাখ টন কম হয়েছে ধানের উৎপাদন। সেই সঙ্গে তাপমাত্রার হেরফেরের কারণে দেখা দিচ্ছে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ।

বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, শুধু কার্বন নিঃসরণের কারণেই ২০৫০ সাল নাগাদ তাপমাত্রা বাড়বে প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর প্রভাবে বাড়বে ঝড়, বন্যা, খরা'সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

বিআইডিএস সম্মানীয় ফেলো এম আসাদুজ্জামান বলেন, কোনো বছর বৃষ্টি একেবারেই হবে না। আবার কোনো কোনো বছর প্রচুর বৃষ্টি বেশি হবে। চাষীতো শুধু জানে, কোন সময়ে বুনতে হবে আর কাটতে হবে। বৃষ্টি যদি সময় মতো না হয় তাহলে চাষে ব্যাঘাত ঘটবে।

শুধু বন্যা নয়, তাপমাত্রা বৃদ্ধি সরাসরি প্রভাব ফেলবে ধানের উৎপাদনে। বিআইডিএস'র দাবি, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়লে আমন ও আউশের উৎপাদন হেক্টর প্রতি কমবে প্রায় এক থেকে দেড় টন। আর বুয়েট বলছে, দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লে বছরে আমন ও বোরো মিলিয়ে দেশে ধানের উৎপাদন কমবে প্রায় ১৫ শতাংশ বা ৫০ লাখ টন।

বুয়েট পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ১৫ শতাংশ ধান উৎপাদন কমবে।

তাপমাত্রা বাড়লে খরাপ্রবণ হয়ে পড়বে দেশের উত্তরাঞ্চল। অন্যদিকে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বাড়বে লবণাক্ততা। এডিবি'র হিসেবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৬৫ সেন্টিমিটার বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ওই অঞ্চলের চাষযোগ্য জমির ৪০ ভাগ। বাংলাদেশ পরমাণু ধান গবেষণা কেন্দ্র ও ব্রি মিলে এপর্যন্ত ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষম ২২টি জাত উদ্ভাবন করেছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবির বলেন, ব্রি ধান ৫৭, ২২ গুলো খরায় ভালো হয়। ব্রি ৫১, ৫২ ধান ২ সপ্তাহ পানির নিচে থাকলেও নষ্ট হয় না। ব্রি-৭৯ ধান ৩ সপ্তাহ পানি নিচে থাকলেও নষ্ট হয় না।

কৃষিবিদরা বলছেন, বীজ ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতার কারণে ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনের সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তাই বীজ ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানোর পরামর্শ তাদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়