রিয়াজুর রহমান : নগরীর আকবর শাহ থানার ১ নম্বর ঝিল এবং বিজয় নগর এলাকায় এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন, শাহীনুর আক্তার (২৬), মাইনুর আক্তার (২৪), লিটন (২৪) ও ইমন (১৪)।
জানা গেছে, তাসকিয়া ইসলাম তানহা চুপচাপ কোলে শুয়ে। তার কিছুক্ষণের ছোট তাকিয়া ইয়াসমিন তিন্নি খেলাধুলায় মেতেছে। মাঝেমধ্যেই হেসে উঠছে আপনমনে। ফুটফুটে এই দুই শিশুর মা শাহীনুর বেগম শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানার ১ নম্বর ঝিল বরিশালঘোনায় পাহাড়ধসে মারা গেছেন। একই সময় তাদের ছোট খালা মাইনুর বেগমও মারা যান।
যমজ শিশুরা ছিল মা নিহত শাহীনুরের বুকে। পাহাড়ধসে মায়ের মৃত্যু হয় কিন্তু মায়ের বুকে থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে যায়। কেউ গুরুতর আহত হয়নি। পাড়া–প্রতিবেশী গিয়ে শিশু দুটিকে উদ্ধার করেন।
আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয় তাদের মা, খালা ও নানা-নানিকে। মা ও খালাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নানা ফজলুল হক ও নানি রানু বেগম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত শাহীনুরের ফুফাতো বোন বলেন, শাহীনুরের যমজ শিশুসন্তান আছে। মায়ের বুকে ঘুমিয়ে থাকায় শিশু দুটি বেঁচে গেছে।
আকবর শাহ থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন জানান, রাত ১টার দিকে ১ ঝিলের বরিশাল ঘোনা এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠা একটি ঘরের উপর মাটি ধসে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে মাটির নিচ থেকে চারজনকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এসময় চিকিৎসক দুই বোন শাহীনুর ও মাইনুরকে মৃত ঘোষণা করে। আহত তাদের বাবা মা ফজল হক ও মোশারা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে ভোরে ফয়’স লেক সী ওয়ার্ল্ডের পাশে বিজয় নগর এলাকায় আলাদা পাহাড় ধসের ঘটনায় লিটন ও ইমন নিহত হন বলে জানান ওসি। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, আগামী ২০ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর কিছুটা কমলেও থেমে থেমে বৃষ্টি হবে মাসজুড়েই। ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথাও জানান এই কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :