শাহীন খন্দকার: সীতাকুন্ডের আগুনে দগ্ধের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ২০ জন রোগী ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে একজন লাইফ সাপোর্টে, দুজন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) আছেন। বাকিরা অন্যান্য বিভাগ বা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁদের কারও অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার আহত দগ্ধদের সবশেষ অবস্থার ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। ডা. সামন্ত লাল বলেন, বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটে ২০ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে থাকা একজনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। বাকি যাঁরা বাইরে আছেন, তাঁরা স্থিতিশীল আছেন। তবে বার্নের রোগী ৪ শতাংশ হোক আর ১২ শতাংশ হোক, যতক্ষণ পর্যন্ত বাড়ি না যাবেন, ততোক্ষণ পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত বলা যাবে না।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, ‘সীতাকুন্ডের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের দেখতে চক্ষু চিকিৎসকদের একটি টিম নিয়ে চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা দিয়েছি। এই অগ্নিকান্ডে দেহের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা খারাপ ছিল। সেই ছয়জনকে ঢাকার চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। দুজন দগ্ধ থাকায় গতকাল তাঁদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
ডা. দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, বার্নের রোগী দেখলাম। চমৎকারভাবে ম্যানেজ করেছেন এখানকার চিকিৎসকেরা। প্রত্যেক রোগীর চোখের কর্নিয়াসহ কয়েক জায়গায় আঘাত আছে। এ জন্য তাঁদের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হচ্ছে। চোখের চিকিৎসার যেন কোনো ত্রুটি না হয়, সে জন্য ঢাকা মেডিকেল চক্ষু বিভাগ ও চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট একসঙ্গে কাজ করছে। চোখের জন্য একটি স্লিপ লেন্স নিয়ে আসা হবে, যেটা দিয়ে চোখের মধ্যে ভালোভাবে দেখা যায়। আশা করছি, যারা চোখে ঝাপসা দেখছেন, সাত দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :