ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর উদ্ধারকাজে যান কুমিরা ফায়ার স্টেশনের কর্মী রানা মিয়া (২৭)। কিন্তু ভয়াবহ বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ১৬ ঘণ্টা পর তাঁর লাশের খোঁজ পেয়েছেন স্বজনেরা।
এর আগে রানা মিয়ার দুলাভাই মো. রাসেল শেখ সীতাকুণ্ড থেকে খোঁজ করতে করতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে আসেন। সেখানে জরুরি বিভাগে আসা ৩৫টি মরদেহ থেকে নিজের শ্যালককে শনাক্তের চেষ্টা করেন। এরপর মুখের দাড়ি, পরনে স্থানীয় একটি ক্লাবের গেঞ্জি দেখে ৩০ মিনিটের চেষ্টায় রানাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হন রাসেল শেখ।
রানা মিয়ার বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয়ে। তাঁরা দুই ভাই এক বোন। রানা এখনো বিয়ে করেননি। তাঁর বড় বোনের স্বামী রাসেল শেখ। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের একজন সিপাহি।
দুই বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন রানা মিয়া। সীতাকুণ্ডের কুমিরা স্টেশনে তিনি কর্মরত ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বুক ও মুখ ছাড়া বাকি দেহ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে রানার। রাসেল শেখ তাঁর মরদেহ যখন শনাক্ত করেন, ওই মুহূর্তে কল দেন রানা মিয়ার বাবা।
মোবাইল ফোনে শ্বশুরের কল দেখে মন শক্ত করেন রাসেল শেখ। স্বাভাবিক থেকে ফোনের ওপাশে থাকা শ্বশুরকে বলেন, ‘বাবা রানা সুস্থ আছে। একটু আহত হয়েছে, চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসব। চিন্তা করবেন না।’
৪০ মিনিট লাইভের পর বিস্ফোরণে উড়ে গেলেন অলিউর৪০ মিনিট লাইভের পর বিস্ফোরণে উড়ে গেলেন অলিউর
রাসেল শেখ বলেন, ‘রানাকে খুঁজতে যে পরিমাণ কষ্ট করতে হয়েছে, আমার চাকরিজীবনে এমন কষ্ট করিনি। কষ্ট হলেও মরদেহ অন্তত পেয়েছি। কিন্তু এখন তার পরিবারকে কী বলব?’
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা উদয়ন চাকমা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের সাতজন কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া চারজনকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। মারা যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজে অংশ নিতে গিয়ে নিহত হন।’
সূত্র: আজকের পত্রিকা
আপনার মতামত লিখুন :