শাহীন খন্দকার: চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সব সদস্যের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ওই ডিপোর মালিকপক্ষ স্মার্ট গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, এ দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার সব ব্যয়ভারও গ্রহণ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার (৫ জুন) এক ভিডিও বার্তায় স্মার্ট গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী এ ঘোষণা দেন। স্মার্ট গ্রুপের জি এম মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, বি এম কনটেইনার আমাদের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ও হতাহতদের জন্য আমরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।
তিনি বলেন, আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডে যারা আহত হয়েছেন, মহান আল্লাহর কাছে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। মেজর (অব.) শামসুল বলেন, এ ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে সর্বোচ্চ (সহায়তা) এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণের ঘোষণা আমরা দিচ্ছি। সেইসঙ্গে যারা নিহত ও আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের সব সদস্যের দায়িত্ব গ্রহণ করার ঘোষণা দিচ্ছি। স্মার্ট গ্রুপের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকার গঠিত তদন্ত কমিটিকেও স্মার্ট গ্রুপের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট গ্রুপের জিএম বলেন, এ ঘটনায় (স্মার্ট গ্রুপ) কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনসহ সরকারের তদন্ত কমিটিকে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিচ্ছি। এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা অথবা প্রতিপক্ষের কেউ সাবোট্যাজ ঘটিয়েছে কি না, এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। চলমান পরিস্থিতিকে ‘চরম দুর্দিন’ অভিহিত করে মেজর (অব.) শামসুল সবার সাহায্য কামনা করেন।
স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম এবং কনটেইনার ডিপোর পরিচালক মজিবুর রহমান। বিস্ফোরণের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে গণমাধ্যমকে মজিবুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় আমার ক্ষতি ছাড়িয়ে গেছে হাজার কোটি টাকা। আমার তো ভাই সব শেষ। ডিপোকে দাহ্য পদার্থ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কেমিক্যাল ছিল বলে স্বীকার করেন মুজিবুর রহমান। দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে কোনো তথ্য গোপন করেননি বলেও দাবি করেন স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, আমরা কোনো তথ্য গোপন করিনি। আর হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কখনো নিজে থেকে জ্বলে না। অতিরিক্ত হিটে আগুন ধরে এবং বিস্ফোরিত হয়। ফায়ার সার্ভিস যদি সঠিক মতো কাজ করত তাহলে আমার কিছুই হতো না।
তিনি আরও বলেন, রাসায়নিক পদার্থ ও গার্মেন্টস পণ্য থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করছি। তার এই ডিপোতে কতজন শ্রমিক কাজ করেছিলেন জানতে চাইলে মজিবুর রহমান বলেন, শতাধিক শ্রমিক ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :