মাসুদ আলম: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মী গাউসুল আজম ও সীতাকুণ্ডু স্টেশনের রবিউলকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। গাউসুলের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং রবিউলের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
নিহতের মধ্যে ৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- লিডার নিপুন চাকমা, নার্সিং অ্যাটেনডেন্ড মনিরুজ্জামান মনির, ফায়ার ফাইটার আলাউদ্দীন ও শাকিল।
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, এর আগে কখনো একটি ঘটনায় এত অগ্নিনির্বাপক কর্মীর মৃত্যু হয়নি।
এদিকে আগুনের শিকার হওয়ার পর নিজের মামা মির হোসেনকে কল দিয়ে মনির বলেন, আমার শরীর পুড়ে গেছে। আমি হয়তো আর ফিরব না। আমার কলিজা মেয়েটার মুখ আর দেখা হবে না মামা। তুমি একটু দেখে রাখিও। মনিরের বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নাইয়ারা গ্রামে। এক সপ্তাহে আগে তার স্ত্রী বরিশালে বাবার বাড়িতে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। এটিই এ দম্পতির প্রথম সন্তান।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খুব কাছ থেকে পানি নিক্ষেপ করছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে কনটেইনার বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ অন্যরা দগ্ধ হন। কনটেইনার বিস্ফোরিত হওয়ার পর আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ বনানীর কামাল আতাতুর্কে এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ফায়ার কর্মী সোহেল রানাও ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দিন ব্যাপক পরিমাণে ধোঁয়া সোহেল রানার শরীরে ঢুকে যায়। এতে তার রক্তে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিলো। তার ফুসফুস ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় । তার হাত ভেঙে গিয়েছিলো এবং তলপেটে গুরুতর আঘাত পান । পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আপনার মতামত লিখুন :