মহসীন কবির: আহতদের মধ্যে শতাধিক লোককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিলধারণের ঠাঁই নেই চমেক হাসপাতালে। একটু পরপর সাইরেন বাজিয়ে আসছে অ্যাম্বুলেন্স। আহতদের পাশাপাশি তাদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে হাসপাতালের চারপাশ।
আহত রোগীদের জন্য রক্তের হাহাকার দেখা দিয়েছে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। বিশেষ করে এবি পজেটিভ, ও নেগেটিভ এবং এ নেগেটিভ রক্তের চাহিদা বেশি।
স্বেচ্ছাসেবকরা প্ল্যাকার্ড হাতে নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন লেখা কাগজ নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং রক্তের প্রয়োজন জানিয়ে রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরাও হ্যান্ডমাইকে একের পর এক ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে আহতদের সাহায্যে চমেক হাসপাতালে শত শত স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন এবং বিনামূল্যেও ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।
জানা যায়, এই ঘটনায় চট্টগ্রামের সকল চিকিৎসকসহ চিকিৎসাসেবায় জড়িততে স্ব স্ব কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী। তিনি নিজেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক বলেন, সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন । রক্তাদাতারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী রক্ষ দিতে হাসপাতালে গেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :