মহসীন কবির: রাজবাড়ীর কালুখালী ও খুলনার ডুমুরিয়া ও রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিন সকাল সোয়া ৯টার দিকে কালুখালী উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক, ইজিবাইক ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে ৭ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই ইজিবাইকের যাত্রী ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন নারী, একজন পুরুষ ও ২ শিশু রয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সঞ্জু সরকার জানান, তারা ব্যক্তিগত গাড়িতে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। চাঁদপুর এলাকায় পৌঁছানোর পরে তাদের গাড়ি একটি ইজিবাইকের পেছনে ছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক প্রথমে ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়, এরপর তাদের গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, দুর্ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা ট্রাকটি জব্দ করেছি, তবে চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছেন।
সকাল ৮টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া এলাকায় আরেক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সাইকেল ও ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গনি মিয়া বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি খুলনা থেকে সাতক্ষীরার দিকে যাচ্ছিল। গুটুদিয়া পিসিএফ অফিসের সামনে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। আহত যাত্রীদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ডুমুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আপনার মতামত লিখুন :