ডেস্ক রিপোর্ট: সজীবের মৃত্যুর খবর যেন কয়েক মুহূর্তের জন্য শোকে পাথর করে দিয়েছে বাবা হামীদকে। ক্ষণে ক্ষণে ছেলের জন্য আহাজারি করে মূর্ছা যাচ্ছিলেন সজীবের বাবা। ছেলেকে ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলে বিদায় দিয়েছিলেন তিনি। ছেলের সঙ্গে এ কথাই যে শেষ কথা হবে, তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি তিনি।
হামীদ বলেন, নামাজ শেষে বাসায় গিয়ে দুপুরের খাবার খেতে বসেছি; ওই সময় পাশের বাড়ির ভাবি এসে মিরসরাইয়ে এক্সিডেন্টের কথা বলে। তাড়াতাড়ি ছেলেকে কল দিলাম। দেখি মোবাইল বন্ধ। খাবার রেখে ছুটে গেলাম। মাঝপথে একটা অ্যাম্বুলেন্সে করে এখানে (চমেক হাসপাতাল) চলে এলাম। আমার ছেলেকে তো পাইনি। অনেক কষ্ট করে ছেলেকে পড়িয়েছি। সামান্য মুদি দোকানের কর্মচারী আমি।
ভাইয়ের শোকে মূর্ছা যাচ্ছিলেন সজীবের ছোট ভাই তৌসিব। আহাজারি করে বলছেন, ও আল্লাহ আমাকে নিলে না কেন। আমার ভাইকে ফিরাই দাও। আমার ভাইকে এনে দাও তোমরা। আমার জানের ভাইটা কই। ভাইরে, তুই কই?
বাবা হামীদ আর ছোট ভাই তৌসিবের কান্নায় চোখ জলে ছলছল করে উপস্থিত সবার। বন্ধু, সহপাঠী আর এলাকাবাসীর কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের জায়গায় তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ঝরনায় ঘুরতে গিয়ে ঝরে গেল ১১ প্রাণ। বয়সে সবাই তরুণ। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, গেটম্যানের ভুলেই ঝরেছে এত প্রাণ। সূত্র: সময় টিভি অনলাইন
আপনার মতামত লিখুন :