সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের পর পুরো সচিবালয় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। সকাল ৯টার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিসের প্রবেশ করলেও ভেতরে কোনো দাপ্তরিক কাজকর্ম হচ্ছে না। সবাই যে যার মতো দাঁড়িয়ে বা বসে সময় কাটাচ্ছেন। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো দপ্তরই খোলা হয়নি। অনেক দপ্তরে এখনো তালাবদ্ধ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভেতরে ঢোকার সুযোগ পেলেও কোনো কক্ষেই প্রবেশ করা হচ্ছে না। পুরো সচিবালয় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। কিছু স্থানে জেনারেটর চললেও অধিকাংশ স্থানে বিদ্যুৎ নেই।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠতলায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সংবাদ সম্মেলন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ২০টি ইউনিট ও ২১১ জন ফায়ার কর্মী কাজ করেছেন। তবে জায়গার সংকটের কারণে ১০টি ইউনিট সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, সচিবালয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম তলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা ছাড়া বেশির ভাগ তলাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল।
পানির কোনো সংকট ছিল না দাবি করে ডিজি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগলেও এখানে পানির কোনো সংকট ছিল না। পাশেই ওসমানি মিলনায়তন থেকে পানি পেয়েছি। ওয়াসার গাড়ি এসে পানি দিয়ে গেছে। কিন্তু সচিবালয়ের কক্ষগুলো আবদ্ধ ও গ্লাস লাগানো থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে।
এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশ্ন তুলে বলছেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জায়গায় কীভাবে আগুন লাগল। কেউ কেউ আগুন লাগার ঘটনাকে নাশকতা বলে উল্লেখ করছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সচিবালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আপনার মতামত লিখুন :