মোস্তাফিজুর রহমান: [২] রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ভিআইপি প্রজেক্ট এলাকায় একটি তিনতলা ভবনের নিচ তলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১ জন নিহত হয়েছেন। আতহ হয়েছেন আরো ১ জন।
[৩] বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে বাড্ডার ৪ নম্বর ডিআইটি রোডে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
[৪] নিহত হোটেল বাবুর্চি মো. সোলায়মান (৩৫) নিহত ও দগ্ধ হয়েছেন মোছাঃ শান্তা বেগম (২৬) তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আবাসিক চিকিৎসক মোঃ তরিকুল ইসলাম। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
[৫] মৃতের ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, সোলায়মান বাড্ডা কাবাব হোটেলের রুটি তৈরির কারিগর সকালে হোটেলে কাজে গিয়েছিল পাশে একটি ভবনে গ্যাস লিকেস থেকে বিস্ফোরণে ওই ভবনের গেটের কিছু অংশ ভেঙ্গে তার মাথায় লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে সেখান থেকে তার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে মর্গে এসে ভাইকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
[৬] দগ্ধ শান্তার স্বামী মাছ ব্যবসায়ী নাসির হাওলাদার বলেন, বর্তমানে মেরুল বাড্ডায় ডিআইটি প্রজেক্ট৪ রোডে তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া বাসায় থাকি। সকালে সেখানে যেকোনোভাবে গ্যাস লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণে ঘটনাটি ঘটে। স্ত্রীকে গেটের বাইরে থেকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তিনি আরো বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ওই বাসায় গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলাম। ঘটনার সময় তার স্ত্রী হয়তো দৌড়ে রুমের বাহিরে চলে যায়।
[৭] বাড্ডা থানার উপ পরিদর্শক এসআই আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় দগ্ধ নারী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
[৮] মৃত সোলায়মান ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়া পলাশ তলি গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে। বর্তমানে ডিআইটি প্রজেক্ট রোড নং-০৪, বাসা নং -২২ বাড্ডা কাবাব হোটেলে কাজ করেন পাশাপাশা মালিকের বাসায় থাকতেন । তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল বড়। এক ছেলে এক মেয়ের জনক ছিলেন তিনি। তার পরিবার থাকেন গ্রামে। সম্পাদনা: হ্যাপী
এমআর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :