সুজন কৈরী: [২] শনিবার সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে লা ভিঞ্চি হোটেলের জেনারেটর রুমে এই আগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটের চেষ্টায় পৌনে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
[৩] ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ভবনের নিরাপত্তাকর্মী বাবু মিয়ার চেষ্টায় আগুন বড় হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের পরপরই আব্দুল লতিফ টাওয়ার থেকে তিনিই প্রথম ফায়ার এক্সটিংগুইশার এবং পানি নিয়ে এগিয়ে যান। কয়েকবার অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর এবারই প্রথম সেই প্রশিক্ষণ হাতে-কলমে বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়েছেন।
[৪] বাবু মিয়া বলেন, সকালে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আমাদের ভবনের ফায়ার ব্যবস্থাপনা পরীক্ষা করছিলাম। এর মধ্যেই হঠাৎ কারেন্ট চলে যায়। তখন পার্শ্ববর্তী ভবনের ওই জেনারেটরটি চালু হলে অনেক কালো ধোঁয়া বের হতে দেখি। কী হয়েছে সেটা দেখার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাই। তখন আগুন দেখে আমাদের ভবনের পানির লাইন থেকে পাইপ লাগিয়ে দ্রুত পানির ব্যবস্থা করি। ফায়ার এক্সটিংগুইশার বের করে ব্যবহার করি। আশপাশের মানুষজনকেও ডাক দেই। তারপর ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম এখানে আসে। সবার চেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
[৫] তিনি বলেন, আমাদের এই ভবনটিতে আগুন নির্বাপণের জন্য পুরো সেফটি রয়েছে। আমি এর আগে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিং করেছি। আজকে সেই ট্রেনিং কাজে লেগেছে।
[৬] আগুনের ঘটনায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়ে লা ভিঞ্চি হোটেলের স্টোর কিপার হাসান বলেন, খুবই ছোট আগুন ছিল। কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদের এখানে জেনারেটর ছাড়া আর কোনো কিছু ছিল না। টিনের চালা ঘরে শুধু জেনারেটরটিই ছিল। জেনারেটর পুড়েনি। শুধু ঘরের উপরের টিন এবং সিলিং পুড়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :