আব্দুল হাফিজ, ময়মনসিংহ: [২] ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত মায়ের বুকে আহাজারি করা শিশুটির পরিচয় পাওয়া গেছে।
[৩] ভালুকা হাইওয়ে থানার পুলিশের কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
[৩] শিশুটির নাম জাহিদ হোসেন। নিহত মায়ের নাম জায়েদা (৩২)। সুনামগঞ্জ জেলার দুয়ারা উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের বাসিন্দা রমিজ উদ্দিনের মেয়ে।
[৪] তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে- গত ৯ মে রাতে জায়েদা রাস্তা পার হতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
[৫] ওসি আরও জানান, জায়েদা ভালুকার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় শিশু জাহিদকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা ফারুক মিয়ার সঙ্গে।
[৬] ফারুক স্থানীয় বাসিন্দা কফিল উদ্দিনের ছেলে। তার ঘরে প্রথম স্ত্রীসহ তিনটি সন্তান রয়েছে। এ কারণে দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি পরিবার মেনে নেয়নি। ফলে জায়েদা স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় ভালুকার স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
[৭] মমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর রাতে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অজ্ঞাত এক নারী ও শিশুকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে আসে কয়েকজন ব্যক্তি। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলে পরদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়।
[৮] নাম পরিচয় না পাওয়ায় মরদেহ রাখা হয় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। এদিকে শিশুটি ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন । তার মাথায় এবং হাতে আঘাত রয়েছে।
[৯] ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মাইন উদ্দিন বলেন, আমরা নিয়মিত শিশুর খোঁজখবর নিচ্ছি। আল্লাহর রহমতে শিশুটি সুস্থ আছে। ওয়ার্ডে কর্মরত কর্মীরা তার দেখভাল করছে।
[১০] নিহত জায়েদা খাতুনের স্বামী ফারুক মিয়া বলেন, আমি পেশায় ট্রাকচালক। প্রায় ৭ আট বছর আগে জায়েদাকে দ্বিতীয় বিয়ে করি। তবে, পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়নি। এরপর থেকেই সে বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতেন। আমার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর আরও তিনটি বিয়ে করেছে বলে শুনেছি। এখন আমি প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় বসবাস করি। জায়েদা খাতুনও তার ছেলেকে স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন। তবে নির্দিষ্ট ঠিকানা আমার জানা নেই। গত এক মাসে আমার সঙ্গে জায়েদার তিনবার দেখা হয়েছে।
[১১] ফারুক আরও বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি জায়েদা মারা গেছে। তাই ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দিকে যাচ্ছি। তবে, সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া মেহেদী হাসান আমার সন্তান না। জায়েদার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তার ভাই সুনামগঞ্জ থেকে মরদেহ নিতে আসছে বলে জানতে পেরেছি।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :