জুনাত আরমান,কল্যাণ বড়ুয়া, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম): [২] বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী ও আনোয়ারা সমুদ্র উপকুলে ঝড়ো হওয়া বাতাসের কবলে পড়ে প্রায় ১৫/১৬টি লবণ বোঝাই কার্গো ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোর সকালে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে এ সময় লবণবাহী কার্গো ট্রলারে থাকা বেশ কয়েকজন মাঝি মাল্লা ডুবে গেলে ও তাদের মধ্যে বাঁশখালীর খানখানাবাদের প্রেমাশিয়া, কদমরসুল এলাকায় ৪৫জন মাঝি মাল্লাকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় জনগন কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সহায়তায়।
[৩] অপরদিকে আনোয়ারা উপকুলে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সহায়তায় চারটি ট্রলারের ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে বলে সুত্রে জানা যায়। তবে বুধবার বিকালে এ নিউজ লেখা পর্যন্ত বাঁশখালী স্থানীয় জনগন, নিখোঁজ ট্রলার মালিকদের পক্ষে অন্য ট্রলার ও লোকজন নিয়ে এবং কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
[৪] বুধবার সকালে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটলে খানখানাবাদ এলাকার মোঃ বোরহান উদ্দিন, মোঃ কলিম উদ্দিন, আবু তৈয়ব সাগরে তাদের বোট নিয়ে গিয়ে ডুবে যাওয়া চকরিয়ার ডুলহাজারা এলাকার মিন্টু বহাদ্দারের মালিকাধীন ট্রলারের মাঝিমাল্লা লালু ছেরাং এর পুত্র জাবের মাঝি, মনির আলীর পুত্র নুরুল কাদের, মৃত মজিদ আলীর পুত্র তোফায়েল আহমেদ, আবদু শুক্কুরের পুত্র আবদুল মজিদকে উদ্ধার করে।
[৫] এছাড়া কদমরসুল এলাকায় ৬ এবং প্রেমাশিয়া এলাকায় ৩৫ জনসহ ৪৫ জন মাঝিমাল্লা উদ্ধার হলে তারা নিজ নিজ এলাকায় চলে যায় খানখানাবাদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন হায়দার এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রকৌশলী লিপটন ওম জানান। অপরদিকে আনোয়ারার উপকূল থেকে ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
[৬] উদ্ধারকৃতরা হলেন, এমভি আল্লাহর দান ট্রালের মাঝি জিয়া উদ্দিন, এমভি তৌফিক ইলাহির মাঝি মানিক মানিক, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ মানিক, মনসুর উদ্দিন, বদি আলম, আবু হানিফ, জাবেদ আহমেদ, মোহাম্মদ আনিস, মোহাম্মদ আহিম, সোহেল মিয়া।
[৭] জানা যায়, বুধবার (৮ মে) ভোরে বঙ্গোপসাগরের চার নটিক্যাল মাইল দূরে ও শঙ্খ নদীর মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া থেকে ১৬ ট্রলার লবণবোঝাই করে চট্টগ্রাম শহরের মাঝিরঘাট যাচ্ছিল। পথে বঙ্গোপসাগরের চার নটিক্যাল মাইল দূরে পৌঁছলে কালবৈশাখী দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারগুলো। এতে একের পর এক ট্রলারগুলো ডুবে যায়। খবর পেয়ে কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ চার ট্রলার থেকে ১৮ মাঝি-মাল্লা ও শ্রমিক উদ্ধার করে। এতে প্রায় ৩০ হাজার মণ লবণ পানিতে তলিয়ে যায়। নিখোঁজ অন্যান্যদের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ। তারা বাঁশখালী উপজেলা ও কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
[৮] খানখানাবাদের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার ইউনিয়নের ৩টি পয়েন্টে ৪৫ মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা, খাবার ও তাদের যাতায়াতের খরচ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, কয়টি লবণবাহী বোট ছিল তা এখন ও বিস্তারিত জানা যায়নি, তবে সেসব ট্রলার গুলোর মধ্যে বাঁশখালীর সরলের একটিসহ অধিকাংশ ট্রলার গুলো মহেষখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া এলাকার বলে জানা গেছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এ আরএস
আপনার মতামত লিখুন :